লং ডিসটেন্স রিলেশনশিপ গুলো আপনার জীবনে


লং ডিসটেন্স রিলেশনশিপ গুলো। সবচেয়ে বেশি কিউট হয়। দুইটা মানুষের সামনা-সামনি দেখা হয় না। পাশাপাশি বসা হয় না, হাত ধরে চোখে চোখ রেখে দুইটা কথা বলা হয় না,তবুও না থেকেও দুইটা মানুষ একজন আরেকজনের অনেকটা দূরে থেকে যায়।ছেড়ে যায় না, সে মানুষটার ভয়েজ শোনা এবং সামনে থেকে ভয়েজ শোনার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। সামনে থেকে ভয়েজ শোনার এক্সপিরেন্স তারা করতে পারে না ঠিকই কিন্তু ফোনেই ভয়েক শুনে সেটাকে তার আপন করে নেয়। তারা তখন নিজের মনকে বুঝতে এভাবে, ওর ফোনের ভয়েজটা তো একটু বেশি সুন্দর, ফোনে ওর ঘুম জড়ানো কন্ঠে কোন তুলনাই নেই। আর ওর ঠান্ডা লেগে যাওয়ার পরের ভয়েজটা তো ঘোর লাগিয়ে দেই।তারা এভাবেই মানিয়ে নেই। নিজেকে নিজের মনকে তবু তারা ছেড়ে যায়না।

গল্প-উপন্যাস কিংবা সিনেমার মতো এদের প্রেমিকার বাড়ির সামনে গিয়ে কখনো দাড়ানো হয়না। রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে বেলুকিটার দিকে আড়চোখে একবার তাকানো হয়না। কিন্তু ফোনে কথা বলতে বলতে পাগলামি করে বলা হয় না তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে। আসব আমি, একটু বেলকোনিতে দাড়াবা।কেউ একজন আসবে জেনে কারো কারো ঝটপট করে সেজেগুজে বেলকোনিতে গিয়ে দাড়ানো হয়না। সব কিছুই চলে শুধু ইচ্ছে করলে কাছে থেকে দেখা হয় না। থেকে যায় কিসের নেশায়? কিসের আশায়? সেটা আমি আপনি যানবো না। জানবে তারাই যারা দূর থেকে ভালোবাসে। এতো গভীরএকটা অনুভূতি কিবোর্ড এর টুসটাস আওয়াজ তুলে দুই লাইনে লেখা যায় না।



কঠিন পরীক্ষা পার করতে হয় তখন যখন বিভিন্ন স্পেশাল দিবস গুলো আসে।চোখের সামনে বন্ধুবান্ধব যখন সেজেগুজে ডেট করতে চায় তখন কেউ কেউ ফোনে ভিডিও কল ওপেন করে ওপাশের মানুষটাকে গলা ধরে আশার কন্ঠে বলে বাহ,তোমাকে শাড়িতে খুব সুন্দর লাগছে। ওপাশেত মানুষটা যখন হাতে থাকা ফোনটার দিকে তাকিয়ে কি বলবে বুঝতে পারে না। অনেকক্ষণ চুপ থাকার পর নীরবতা ভেঙ্গে বলে তোমার মুখটা এত শুকনা লাগছে কেন? এই কেনওর উত্তর দুজনে দুজনে খুজতে থাকে। উত্তর খুঁজে পাওয়া যায় না, শুধু অপেক্ষার পালা৷একটু খানি থেকে দেখার অপেক্ষা কবে দেখা হবে আবার। শুরু হয় দিন গুনা তবু তারা কেউ কাউকে ছেড়ে যায় না। আসে পাশে এতো মানুষ এত সুন্দরী মেয়ে এত হ্যান্ডসাম ছেলে দেখেও মনে মনে তারা বলে ধুর ছাই আমার ওই মানুষটাকেই লাগবে তার মত আর কেউ হয়না

Share this post with your friends.

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url