আপনি কি কোনদিন ভেবে দেখেছেন যে লাভ ভালোবাসা প্রেম এগুলো আসলে কি
আপনি কি কোনদিন ভেবে দেখেছেন যে লাভ ভালোবাসা প্রেম এগুলো আসলে কি এবং এগুলি আমাদের সাথে কেন হয় কেন এমন হয়। যে কোন ব্যক্তি এতটাই ভাল লেগে যায় এতটাই ভাল লেগে যায়। যে তার জন্য প্রাণও দিয়ে দিতে পারবে। এমন ধরনের ফিলিংস তৈরি হয়ে যায় আপনিও হয়তো কোনো না কোনো সময়ে কাউকে না কাউকে অবশ্যই ভালোবেসেছেন। তাই না? এই ভালোবাসা হল এমন একটি ফিলিংস মানবজাতির স্থাপনের জন্য খুবই আবশ্যক। আর শুধু মানুষই নয় এই ভালোবাসা বা লাভকে পৃথিবীতে অবস্থিত প্রতিটি প্রাণীর মধ্যে লক্ষ্য করা যায়। প্রেমের এই স্বাস্থ্যভাব পৃথিবী তৈরি হওয়ার সময় থেকেই রয়েছে। প্রকৃতিকে ব্যালেন্স দেখার জন্য একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রাচীনকাল থেকেই লেখক-কবি মনোবৈজ্ঞানিক শিল্পীরা বিভিন্নভাবে এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন। প্রত্যেকের কাছে এই ভালোবাসা প্রেমের অনুভূতি আলাদা আলাদা পাওয়া গেছে। সত্যি বলতে কি জানেন গবেষণা তারপরও প্রেম কি কেন হয়? কখন হয়? কার সাথে হয়? এই প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। মনে করা হয় প্রেমের এই সম্পর্কটি আত্মার সাথে বন্ধন এর একটি সম্পর্ক। তবে বিষয়টিকে একটু অজার্ব করলেই আপনি বুঝতে পারবেন যে প্রাচীনকালের প্রেম। যে প্রেম কে আমরা পড়েছি জেনেছি সেই প্রেমের সাথে আজকালকার প্রেমের কোন মিলই নেই। এ টোয়েন্টি সেঞ্চুরিতে গ্লোবালাইজেশনের যুগে ডেফিনেশন টা চেঞ্জ হয়ে গেছে ভালোবাসার লোক সাথে ঘোরা টাইম স্পেন্ড করা ভালোবাসার প্রদর্শন সকলের সামনে করা। এই বিষয়গুলোকে এখন ফ্যাশন হিসেবেদেখা হয়। আজকাল মোবাইল ফোন চেঞ্জ করার মতোই ভালোবাসার লোকেদের ব্রেকআপ এবং হয়ে যায় যাই হোক এটা তো ভালো আগেকার। এবং বর্তমানের প্রেমের ভালোবাসার পরিভাষা
এবার আমরা চলে আসি মেইন টপিকে।আমরা আমাদের আমাদের পরিবারের লোকেদের আমাদের বন্ধুদের এবং আমাদের দুজনকে ভালোবেসে থাকি আজকের এই কথাগুলো একটু কন্ত্রভার্শিয়াল তাই আমি আগেই আপনাকে বলেছি আজ আমরা আলোচনা করব আমরা আমাদের সাথে যে প্রেম করি যেটাকে আমরা ভালোবাসা প্রেম বলি সেটা কেন হয় প্রশ্ন হল যে ভালোবাসা আমাদের কেন হয়? এমনকি বাঁচেনি ঘটে আমাদের বটি মাইন্ড এবং যার কারণে আমরা ভালোবাসায় নিজের সীমা ছাড়িয়ে যায় ভালোবাসা কি একটি অনুভূতি নাকি এটি এতে কেমিকাল লোচা, হরমোনাল ইমব্যালেন্স এর কারণে আমাদের সাথে ঘটে থাকে। তো চলুন আমরা জেনে নিই লাভ ভালোবাসা বা প্রেমের ফিলোসফির সাইকোলজি কেমিস্ট্রি এবং সোশিয়লজি ভালোবাসা সম্বন্ধে ডিসকাস।
যখন কোন ব্যক্তি কারো প্রেমে পড়ে তখন তার ব্রেনের একটি নির্দিষ্ট অংশ অ্যাক্টিভেট হয়ে যা কোন ধরনের নেশা করার পর যেভাবে মানুষের এক ধরনের আনন্দ অনুভব করতে পারে ঠিক একই রকমের অনুভূতি পেতে সাহায্য করে। তফাৎ শুধু একটাই জিনিস কিছু সময়ের জন্য কোন ব্যক্তিকে আনন্দের অনুভূতি দেয় এবং এই প্রেম দীর্ঘ সময় পর্যন্ত সেই ফিলিংস দেন।
প্রেমের ক্ষেত্রে এই আনন্দের অনুভুতি কে পাওয়ার জন্য লোক এরা নিজের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে থাকে যে ব্যক্তি প্রেমে হাবুডুবু খায় তার ব্রেন সাধারণ ব্যক্তির তুলনায় নরমাল ব্যক্তির তুলনায় একটু অন্যভাবেই কাজ করে।
সাইন্স এর ভাষায় প্রেম হলো এক ধরনের জেদ এবং নেশা এটা সাইন্স বলে বিজ্ঞান বলেছে প্রেম অন্ধ এই কথাটি হয়েছে কিনা এটা হানডেট পারসেন সত্য কিন্তু প্রশ্ন হল এই প্রেম ভালোবাসার কারণে মানুষের ব্রেনের এত বড় পরিবর্তন কিভাবে এবং কেন হয়ে যায় বৈজ্ঞানিকদের মতে এইসব ঘটনার পেছনে
মানুষের ব্রেন এ অবস্থিত ফ্যানিয়ালনিথাইন এমিনো নামের একটি নিউরো কেমিক্যাল দ্বায়। কেমিক্যাল প্রেমে পরা লকেদের তার পার্টনারের ত্রুটি এবং ফুলগুলিকে ইগনোর করতে সাহায্য করে। ব্যক্তিকে এক ধরনের খুশির অনুভূতিকে পেতে সাহায্য করে এবং এই কেমিক্যাল প্রেমে পড়া ব্যক্তির পার্টনারকে প্রায়োরিটি সিগনাল দেয় আসলেই আমাদের প্রত্যেককে ব্রণে রয়েছে কিন্তু প্রেমে পড়া ব্যক্তিদের নিউরোচেমিক্যাল খুব বেশি মাত্রায় তবে নিউরোচেমিক্যাল দীর্ঘ সময় ধরে থাকে না তিন থেকে চার বছর পর এই কেমিক্যাল এর মাত্রা কমতে শুরু করে এটা তো প্রেমে পড়ার পর এবংআপস এন্ড ডাউন এর প্রেমিকের কথা। তো চলুন এবার আমরা জেনে নেই কিভাবে সাইকোলজিস্ট হিসেবে ভালোবাসা হওয়ার জন্য সংবেদন এর সাথে সাথে আরও বেশ কয়েকটি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তার মধ্য থেকে একটি অংশ সাইকোলজিস্ট
সাইকোলজিস্ট আর্থার একটি এক্সপেরিমেন্ট করেন যেখানে তিনি বেশকিছু অচেনা ছেলে এবং মেয়েদের কে ডাকলেন এবং তাদেরকে একে অপরের সাথে 90 মিনিট পর্যন্ত কথা বলতে বললেন এবং তারপর চার মিনিট তাদেরকে একে অপরের চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতে বললেন এই এক্সপেরিমেন্ট এর রেজাল্ট পাওয়া গেল যে চোখের দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে সামনের ব্যক্তির উপর পার্টিসিপেন্ট হয়ে গিয়েছিল এবং মজাদার কথা হল এই! যে পার্টিসিপেন্টদের মধ্যে থেকে চারটি এক্সপেরিমেন্টের এক বছর পর বিয়ে করে নিয়েছিল এবং তিনটি কাপলস রিলেশনশিপে থাকা শুরু করে দিয়েছিল ভালোবাসায় না কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে প্রতিটি ব্যক্তির গন্ধ ইউনিক হয়ে থাকে আর ইনফরমেশন নাক দ্বারা ব্রেণে পৌঁছায় এবং প্রেম ইনফরমেশন ডিকোর্ড করে। ডিকর্ড করে সামনে সেই ব্যক্তিটির কতটা গুরুত্ব রয়েছে আমাদের লাইফে আর ড. অর্থারের হিসেবে কোন ব্যক্তির মধ্যে অ্যাট্রাকশন অ্যাসিস্ট্যান্ট থেকে শুরু করে চার মিনিটের মধ্যে শুরু হয়ে যায় 100% ভূমিকা থাকে বডিল্যাঙ্গুয়েজ এবং পারসোনালিটির। ৩৮ শতাংশ ভূমিকা থাকে কথা বলার স্টাইল এর উপর এবং ৭শতাং ভূমিকা থাকে কেবল মাত্র এই বিষয়টির উপর যে আপনার কথা বোঝানোর এবং বোঝার ক্ষমতা কতটা তার ওপর।